আইনের লড়াইয়ে নতুন মোড় নিলো “গীতা এলএলবি”-র সাম্প্রতিক পর্ব। আদালতে একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে গেল, যেখানে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন গীতা। প্রমাণ, ষড়যন্ত্র, এবং ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ছায়ায় মোড়ানো আজকের পর্ব ছিল রীতিমতো নাটকীয়তায় ভরপুর।
Geeta LL.B | কোর্টরুমে উত্তেজনার ঝড়—গীতা বনাম ঝর্ণা!
গীতার সওয়াল ও ঝর্ণার জবাব
আদালতে গীতা ঝর্ণাকে জিজ্ঞাসা করে, “আপনার নাম কি?”
ঝর্ণা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দেয়, “আমার নাম ঝর্ণা সেন।”
গীতা তখন বলে, “আপনি বিবাহিতা, তাই না?”
কিন্তু ঝর্ণা সোজাসাপটা জানিয়ে দেয়, “আমি বিবাহিতা নই, আমার বিয়ে হয়নি। আপনি এবং অ্যাডভোকেট মুখার্জী মিলে আমাকে ফাঁসাচ্ছেন।”
এরপর গীতা বিচারকের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উপস্থাপন করতে চায়। ঠিক তখনই ভজন বাধা দেয় এবং বলে, “এভিডেন্স দিয়েও কিছু হবে না।” শুরু হয় গীতা ও ভজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। বিচারক সব শুনে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে এবং আদালতের কার্যক্রম শেষ করেন।
ধীমান সেন ও অগ্নিজিত মুখার্জীর মুখোমুখি সংঘর্ষ
আদালত চত্বরেই অগ্নিজিত মুখার্জী ধীমান সেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, “আমি পরবর্তী শুনানিতে আপনার মুখোশ খুলে দেবো।”
কিন্তু ধীমান সেন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলে, “আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আমার লোক পুলিশের ভেতরেও রয়েছে।”
ঠিক তখনই মিস্টার ঘোষাল এসে জানায়, “হ্যাঁ, থানায় বিদ্যুৎ ঢালি আছে, যদিও এর জন্য অনেক দাম দিতে হয়েছে। আর আপনার চেম্বারের সমস্ত ফাইল পুড়ে গেছে।”
গীতার সন্দেহ ও গিনির স্বীকারোক্তি
এই কথা শোনার পর গীতা গিনিকে ফোন করে বলে, “আমার শ্বশুরমশাই, চেম্বারে আগুন লেগে গেছে!”
গিনি উত্তরে বলে, “হ্যাঁ, শর্ট সার্কিটের কারণে সব পুড়ে গেছে।”
গীতা তখন সন্দেহ প্রকাশ করে, “এই কাজ তুই করেছিস, তাই না?”
গিনি দ্বিধাহীনভাবে স্বীকার করে, “হ্যাঁ, আমিই করেছি।” এরপর ফোন রেখে দেয়।
এই ঘটনায় গীতার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। সে রাগের মাথায় ভজনের জামার কলার ধরে ফেলে।
ঢালির নাটকীয় আবির্ভাব ও ঝর্ণার গোপন সত্য
ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যুৎ ঢালি নতুন বেশে হাজির হয়ে জানায়, “আমি আগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি, নতুন ব্যবসা শুরু করেছি।”
এই কথা শুনে বড়বাবু প্রচণ্ড রেগে যান এবং ঢালিকে তিরস্কার করেন।
অন্যদিকে, গীতা ঝর্ণার দিকে তাকিয়ে বলে, “আপনার তো বিয়ে হয়েছিল, তাও বলছেন স্বামী নেই?”
ঝর্ণা আবেগতাড়িত কণ্ঠে উত্তর দেয়, “আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারিনি, কিন্তু বাবাকে বাঁচাবো।”
গীতা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেয়, “আপনি পারবেন না।”
ঝর্ণা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে, “আমি পারবো।” এরপর সে দৃঢ় পদক্ষেপে সেখান থেকে চলে যায়।
শেষ কথা
আজকের পর্বের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল রহস্য ও উত্তেজনায় ঠাসা। গীতা কি সত্যের সন্ধান পাবে? ধীমান সেনের ষড়যন্ত্র কি প্রকাশ্যে আসবে? ঝর্ণার আত্মবিশ্বাস কি আদৌ টিকে থাকবে? সবকিছুর উত্তর মিলবে আগামী পর্বে!
Anurager Chhowa | নাচেগানে সাক্ষ্য ও চারুর এনগেজমেন্ট পার্টি মাতিয়ে তুলল সূর্য ও জয়