টানটান উত্তেজনা আর নাটকীয় মুহূর্তে ভরপুর একটি পর্বের সাক্ষী হল দর্শকেরা। সূর্য ও দীপার জীবনে যখন একের পর এক বিপদ নেমে আসছে, ঠিক তখনই ঘটে আরও একটি চক্রান্ত। একদিকে হসপিটালের সংকট, অন্যদিকে সূর্যের জীবন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র—এই দুইয়ের সমন্বয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে আজকের এপিসোড।
Anurager Chhowa | নাচেগানে সাক্ষ্য ও চারুর এনগেজমেন্ট পার্টি মাতিয়ে তুলল সূর্য ও জয়
চক্রান্তের সূচনা
কুমার বাবু তার দলের এক সদস্যকে পাঠায় সূর্যদের হসপিটালে, উদ্দেশ্য ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার বন্ধ করে দেওয়া। অন্যদিকে সূর্য ও দীপা যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল, তখন একজন এসে সূর্যকে জুস দেয়। কিছুক্ষণ পর জয় সূর্যকে ডাকতে এলে সে জানায় যে সে একটু টায়ার্ড, তাই রেস্ট নেবে। এই সুযোগেই এক ব্যক্তি সূর্যের গ্লাস বদলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
হাসপাতালের সংকট
ওদিকে হসপিটালে অক্সিজেনের অভাবে বাচ্চাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তাদের বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, আর সেই মুহূর্তে কুমার বাবু এসে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। হাসপাতাল থেকে বারবার ফোন করা হলেও সূর্য সেগুলো ধরতে পারে না। শেষে একজন এসে সরাসরি সূর্যকে জানায় যে তার এখনই হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন। খবর শুনে সূর্য দেরি না করে দ্রুত সেখান থেকে রওনা দেয়।
দীপাও ছুটে আসে হাসপাতালে
সূর্যের পর দীপাও সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতালে যাওয়ার। সে বলে, “আমি এখানে দাঁড়িয়ে চিন্তা করতে পারবো না। আমাকে যেতে হবে।” এরপর সেও দ্রুত হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জীবন-মরণ সংকট ও সূর্যের তৎপরতা
হাসপাতালে পৌঁছে সূর্য দেখে যে অক্সিজেন রুমটি তালাবদ্ধ। তখন সে বাচ্চাদের বাইপ্যাপ (BIPAP) দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু শুধু বাইপ্যাপ যথেষ্ট নয়, তাই সে অক্সিজেন রুমের তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক তখনই দীপা একজন লোক নিয়ে আসে, যে তালা খুলে দেয়। এরপর সূর্য দ্রুত অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এসে বাচ্চাদের অক্সিজেন দেয়।
এই পুরো ঘটনাটি আড়াল থেকে কুমার বাবু লক্ষ্য করছিল। তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু এরপর সে আবার কী চক্রান্ত করতে চলেছে, তা নিয়েই দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগছে।
আজকের পর্বে চরম উত্তেজনার মুহূর্তগুলোর পাশাপাশি সূর্য ও দীপার তৎপরতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আগামীর পর্বে কী ঘটতে চলেছে, তা দেখার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে!