নয়া দিল্লি: পাকিস্তান আবারও সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে গুলি চালিয়েছে। জানানো হয়েছে, জম্মুর আখনুর সেক্টরে এই হামলা চলছে। রাত ৮.১৫ থেকে পাকিস্তানের গুলি-মর্টারের মাধ্যমে নতুন করে হামলা শুরু হয়। জম্মুর বেশ কিছু এলাকায় লাগাতার পাক গুলি-মর্টারের ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাক সেনার গুলি এবং এই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষ বিরতির ৫ ঘণ্টার মধ্যেই উধমপুরে পাকিস্তানের হামলার খবর এসেছে, এবং ১১টি জায়গায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
শ্রীনগরের ডাল লেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ১১টি জায়গায় হামলার খবর মিলেছে।
এছাড়া, শুক্রবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার পথে দুই দেশ সম্মত হয় এবং শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কোনও সামরিক সংঘাত না হওয়ার কথা জানানো হয়। ভারতের বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, ওই দিন পাক সেনার DGMO ভারতীয় DGMO-কে ফোন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সংঘর্ষ বিরতির প্রথম ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরটি দেন। এরপর ভারত-পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমেরিকার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে, আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আমি দুই দেশের বাস্তবতা এবং বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করি।”
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশক দার জানান, দুই দেশ অবিলম্বে সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান সবসময় শান্তির পক্ষে, তবে সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখতে আপস করবে না।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, দুই দেশ স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের গোলাবর্ষণ ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ রাখবে, যা ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এবং ১২ মে, ১২টায় দুই দেশের DGMO আলোচনা করবেন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারত-পাকিস্তান উভয়ে গুলি চালনা ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে, তবে ভারত সন্ত্রাসবাদ বা তার কোনো ধরনের বহিঃপ্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সে অবস্থানে অনড় থাকবে।
সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারতের মাটিতে কোনও জঙ্গি হামলাকে ভারতবিরোধী যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে এমন হামলার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।