সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটার মতো উদযাপন বাঙালি পরিবারে লেগেই থাকে। উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে আসে পেটপুজোর আনন্দ। আসন্ন কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার সময় ভোজনরসিকরা আবারও খুঁজবেন ইলিশের।
ইলিশের বাজারদর কেমন থাকছে?
নিষেধাজ্ঞা উঠার আগে ইলিশের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে বড় আকারের রূপোলি শষ্য ইলিশ সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ছিল। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দাম আরও বাড়ছিল। দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি হলেও তা যথেষ্ট নয়। ফলে কলকাতা এবং শহরতলির বাজারে ইলিশের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা এবং প্রভাব
দুর্গাপুজোর পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২-১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই সময় নদী ও সমুদ্রে ইলিশের সংখ্যা বেড়ে যায়। নিষেধাজ্ঞা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ট্রলাররা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে, জাল ভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরে আসার আশা নিয়ে।
দাম কমার সম্ভাবনা
মৎস্যজীবী সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, ১২ তারিখের পর ট্রলাররা সমুদ্রে রওনা দেবে। ভাইফোঁটার আগে তারা ফিরে আসবে, ফলে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। এবছর আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় অনেক সময় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেননি, তবে এখন আবহাওয়া ঠিক থাকায় জালে আবার ইলিশ উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমান বাজারদর
বর্তমানে ইলিশের বাজারদর ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভাইফোঁটার আগে মাছের সঠিক দাম ও বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
ইলিশের উৎসবমুখর মরশুমে দাম সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক, তবে নিষেধাজ্ঞা উঠার পর বাজারে মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে। তাই এই সময় খেয়াল রাখলেই উপযুক্ত মূল্যে তাজা ইলিশ পাওয়া সম্ভব।