শ্রীময়ীর নেতৃত্বে কাঞ্চনের বাড়িতে কালীপুজোর প্রস্তুতি

চার বছর আগে শ্রীময়ী চট্টরাজ প্রথমবার কাঞ্চন মল্লিকের বাড়িতে কালীপুজোর শুরু করেছিলেন। তখনও তিনি পুরোপুরি কাঞ্চনের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হননি। এরপর থেকে প্রতি বছর দায়িত্ব নিয়ে কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজো আয়োজন করেন শ্রীময়ী। এবছরও তার ব্যতিক্রম নেই। বিশেষ বিষয় হলো, এবছর মেয়ে কৃষভির প্রথম দীপাবলি, তাই প্রস্তুতিও চলছে তুঙ্গে।

কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু

শ্রীময়ী জানান, দুর্গাপুজোর মতো অনেক নিয়ম এবং লোকবল প্রয়োজন হওয়ায় সবসময় তা করা সম্ভব হয় না। তবে কালীপুজোর নিয়মও কম নয়। রবিবার রাত থেকেই তিনি প্রস্তুতি শুরু করেন। পুজোর দিন ভোরে হাওড়ার হাট থেকে ফুল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র আনা হয়।

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

দশকর্মার জিনিসপত্র আগেই কিনে রাখা হয়। শ্রীময়ী জানান, গত চার বছর ধরে কালীঘাটের একটি দোকান থেকে মা কালীর জন্য বেনারসী শাড়ি আনা হয়। এছাড়াও এক বছর আগে থেকে অর্ডার দিয়ে গয়না তৈরি করা হয়।

রায়গঞ্জের ৫০০ বছরের প্রাচীন কালীপুজো: মায়ের নূপুরের ধ্বনি

মা কালী সাজবেন সোনার গয়নায়

শ্রীময়ী বলেন, এবছর মা কালীকে মিনে করা সোনার হার পরানো হবে। এছাড়া একটি বড় হার, মুকুট, হাতবালা, চূড়ি ও নুপূর দিয়ে সাজানো হবে।

ভোগের আয়োজন

ভোগের জন্য খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁচ রকমের ভাজা, ফুলকপির রসা, পনির বা বাঁধাকপি, চাটনি, মিষ্টি এবং পায়েস প্রস্তুত থাকবে। প্রতি বছর নিজে ভোগ রান্না করেন শ্রীময়ী। তবে গত বছর অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তিনি নিজে রান্না করতে পারেননি। এবার দুজনে মিলে রান্না করবেন।

উপোস ও নিয়ম

গত বছর কৃষভির গর্ভে থাকার কারণে শ্রীময়ী নির্জলা উপোস করতে পারেননি। বড়দের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি শুধু ডাবের জল খেয়ে উপোস পালন করেছিলেন।

পোশাক ও পারিবারিক ঐতিহ্য

শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কাঞ্চনের মা সাধক রামপ্রসাদের বংশধর। পুজোর দিনে কাঞ্চন ও শ্রীময়ী দুজনেই নতুন পোশাক পরবেন। মেয়ে কৃষভির জন্য শারারা স্টাইলের জামা কেনা হয়েছে।

দীপাবলির রাতে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা আসরানি, শোকের ছায়া

উপসংহার

প্রতিবারের মতো এবারও শ্রীময়ী চট্টরাজ কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজোর সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মেয়ে কৃষভির প্রথম দীপাবলির আনন্দকে আরও বিশেষ করতে পুরো প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। সাজসজ্জা, ভোগ এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে এবারও কালীপুজো হবে স্মরণীয়।

Leave a Comment