ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার বহু এলাকা এখনো বানভাসি। বহু মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরও চলেছে পুনর্গঠনের লড়াই। এই কঠিন সময়ে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে উপস্থিত থাকার জন্য টলিউড তারকারা সমালোচনার মুখে পড়লেও, এবার সেই তারকারাই উত্তরবঙ্গবাসীর পাশে দাঁড়ালেন।
উত্তরবঙ্গের পাশে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি বার্তা, যা শেয়ার করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তসহ বহু টলি তারকা। সেখানে লেখা, “দুর্গাপুজোর বাংলা সিনেমা মানুষকে আনন্দ দিয়েছে, কিন্তু প্রকৃতি সেই আনন্দে বাধা দিয়েছে।” পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের কান্না অনুভব করতে পারছি, এবং আমরা তাঁদের এই সংগ্রামে পাশে থাকতে চাই। কারণ উত্তরবঙ্গের মানুষদের ছাড়া আমাদের সিনেমা অসম্পূর্ণ।”
প্রথমবার বেঙ্গল টপার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, এদিকে হাসপাতালে শুয়ে ‘অপর্ণা’! কী হল দিতিপ্রিয়ার?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বার্তা
প্রসেনজিৎ লিখেছেন, “সিনেমা শুধু বিনোদন দেয় না, সিনেমা ভরসাও দিতে পারে। এই কঠিন সময়ে আমরা সবাই উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে রয়েছি।” তাঁর এই বার্তা মুহূর্তে নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং বহু মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
উত্তরবঙ্গের জন্য ত্রাণ পাঠালেন দেব
অভিনেতা ও সাংসদ দেবও উত্তরবঙ্গে ত্রাণ পাঠিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রাণ সামগ্রীর কিছু ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “উত্তরবঙ্গের এই কঠিন সময়ে আমি পাশে আছি। আশা করি সবাই খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।” দেবের এই উদ্যোগে নেটিজেনদের মধ্যে প্রশংসার ঝড় উঠেছে।
রুক্মিণী মৈত্রের সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত
অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিতে সংবেদনশীল পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি তাঁর আসন্ন ছবির টিজার লঞ্চ স্থগিত রেখেছেন এই কঠিন পরিস্থিতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ও বর্তমান অবস্থা
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চলছে। জানা গেছে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবে অনেক এলাকায় এখনও বিপর্যয়ের ছাপ রয়ে গেছে।
দর্শকদের প্রশংসা
প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, দেব এবং রুক্মিণীর মতো তারকাদের এই মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত নেটিজেনরা। তাঁদের মতে, এই উদ্যোগ প্রমাণ করে দেয় যে, “সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজের পাশে দাঁড়ানোরও শক্তিশালী এক উপায়।”