কলকাতা এবং নৈহাটির কালীপুজো প্রতিবারই ভক্তদের আকর্ষণ করে। নৈহাটির কালীপুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল ‘বড়মা’। ধর্ম যার যার, তবে বড়মার কাছে ভক্তদের ভিড় বছরের যে কোনো সময়ে লক্ষ্য করা যায়। কালীপুজোর দিন এই ভিড় সর্বাধিক হয়।
শুভশ্রী-রাজ কালীপুজোতে
টলিউডের অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) এই কালীপুজোতে বড়মার কাছে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। এবার সঙ্গে ছিলেন বাস্তব জীবনের স্বামী, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
সোনার দাম ১.৬০ লক্ষ, রুপোর দাম ২.৪০ লাখ: ২০২৬ সালের পূর্বাভাস
লাইনের বাইরে পুজো দেওয়া নিয়ে বিতর্ক
ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজ এবং শুভশ্রী বড়মার বিগ্রহের একেবারে সামনে বসে পুজো দিচ্ছেন, যেখানে সাধারণ ভক্তরা লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন পাচ্ছেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা সমালোচনা করতে শুরু করেন।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
কমেন্টে একজন লিখেছেন, “সাধারণ মানুষদের সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে পারতেন।” অন্য একজন লিখেছেন, “আমিও পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু এত ভিড়ের মধ্যে এক মিনিটও দাঁড়াতে দিল না।” কয়েকজন ট্রোলার কটাক্ষ করেছেন, “ধর্ম যার যার, বড়মা টলিপাড়ার।”
আগের বিতর্কের উদাহরণ
এটি নতুন ঘটনা নয়। ‘ধূমকেতু’ ছবির মুক্তির সময় দেব ও শুভশ্রী বড়মার কাছে পুজো দিতে গিয়ে মন্দিরের ছাদে উঠেছিলেন। সেই ভিডিও নিয়েও ট্রোলিং হয়েছিল।
সেলিব্রিটির বিশেষ অনুমতি প্রশ্নে
নেটিজেনদের প্রশ্ন, কি শুধু তারকা হওয়ায় এই বিশেষ অনুমতি মিলছে? দেব বা শুভশ্রী কখনও মন্তব্য করেননি। এবার শুভশ্রী এবং রাজের ভিডিও নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রাজ-শুভশ্রী এবং পুজোআচ্চার আগ্রহ
রাজ এবং শুভশ্রী প্রায় সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাদের আরবানার ফ্ল্যাটে রথযাত্রা, রাস উৎসব, গণেশ পুজো, লক্ষ্মীপুজো হয়। রাজের প্রোডাকশন হাউজেও সরস্বতী পুজো হয়। দুর্গাপুজোতেও পরিবারসহ অংশ নিতে দেখা যায় তাদের।
উপসংহার
শুভশ্রী এবং রাজ চক্রবর্তীর বড়মার সামনে পুজো দেওয়া নেটিজেনদের মাঝে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সাধারণ ভক্ত এবং তারকারা একসাথে মায়ের দর্শন পাওয়ার সুযোগ পেলে অনুষ্ঠান আরও সুন্দর হতে পারত। তবে এটি স্পষ্ট যে, সেলিব্রিটি হওয়ার কারণে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তির প্রশ্ন সব সময় থাকে।