এটি একটি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ও সংবেদনশীল মুহূর্ত, যেখানে গীতা নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে, একজন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে প্রলয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। একটি অদ্ভুত উত্তেজনা, কিন্তু প্রতিটি অক্ষর যেন সত্যিই আমাদের জীবনের অন্ধকার দিকগুলিকে আঙুল দিয়ে চিহ্নিত করে।
গীতা, যিনি এখন এলএলবি পাস করেছেন, তার জীবনে সব কিছুই সরল নয়। প্রলয় যখন তার জীবনকে দুর্বিপাক করে তুলেছে, তখন গীতা আবারো পুরো পরিবারের স্বার্থে সঠিক পথে চলতে চায়। তবে, পরিবারের কিছু সদস্যদের জন্য, গীতার এই সিদ্ধান্তগুলো তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন। এই লেখাতে গীতা নিজেকে আবিষ্কার করছে এবং অন্যদের কাছ থেকে তাদের সন্দেহ আর বিপর্যয়ের মধ্যে বাঁচতে চেষ্টা করছে।
গীতা রাগান্বিতভাবে বলছেন যে, যদি তার ঘরের ছেলে তাকে ডিভোর্স না দেয়, তাহলে সে আর কখনো এই বাড়ির মুখো হবে না। এই কথাগুলি তার জীবনের দীর্ঘ সময়ের অসম্মান, অপমান ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার অক্ষমতার ফলস্বরূপ। গীতা বুঝতে পারেন, অর্থ আর ভালোবাসা ছাড়া জীবনে টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু এখন আর সে এসবের মধ্যে আটকে থাকতে চায় না। তিনি নিজের পরিচয়ে বাঁচতে চান, সমাজের ধারার বাইরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
প্রলয়, যাকে গীতা ‘রাবণ’ হিসেবে অভিহিত করছেন, তাঁর জীবনে এসে সমস্ত কিছু ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে, গীতা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, নিজের পথ অনুসরণ করতে এবং পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। গীতার কথায়, ‘এই বাড়িতে এসে আমি বড় ভুল করেছি’, এই বাক্যে তার আত্মপক্ষ সমর্থন ও পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তবে, গীতা কি এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে? তার শক্তি ও দৃঢ় মনোভাব কি শেষ পর্যন্ত তাকে তার স্বাধীনতা এবং পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে? প্রতিটি বাক্যেই থাকে এক অনুপ্রেরণা, যার মাধ্যমে গীতা নিজের জীবনে সংগ্রাম ও সংগ্রামের মধ্যেও রাস্তাটি খুঁজে পাচ্ছে।
গীতা এলএলবি, স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল “গীতা এলএলবি”তে সোম থেকে রবি সন্ধে সাড়ে ৬ টায় স্টার জলসায় প্রচারিত হয়, যা ডিজনি ক্লাস হটস্টারেও স্ট্রিমিং করা হয়। এই সিরিয়ালটি গীতার সংগ্রাম এবং প্রলয়ের শক্তি একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে।
এখন, এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে গীতা কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন? সময়ই বলবে!